বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, হাসিনার বিরুদ্ধে এক দফার আন্দোলনে আমরা বারবার জেলে গিয়েছি। হামলা-মামলা-নির্যাতন এমনকি আমাদের বাড়িতেও হামলা হয়েছে। তবুও আমরা দমে যাইনি, গ্রেপ্তারকে ভয় করিনি। আমরা কোনোদিনই হাসিনার কাছে মাথা নত করিনি।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে লক্ষ্মীপুর পৌর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। লক্ষ্মীপুর বালিকা বিদ্যানিকেতন মাঠে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এ্যানি আরও বলেন, আন্দোলন-সংগ্রামের কারণে দীর্ঘ ১৭ বছর জেলা বিএনপিকে সুসংগঠিত করা যায়নি। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর শুরু হয় হাসিনার বিরুদ্ধে এক দফার আন্দোলন। তখন পুরো জেলায় বিশেষ করে চন্দ্রগঞ্জে অনেক নেতাকর্মী গুম, খুন ও রক্তাক্ত হামলার শিকার হয়েছেন। রক্তে ভিজেছে এই পৌরসভা, তবুও আমরা কেউ কাউকে ছেড়ে যাইনি।
তিনি দাবি করেন, সন্ত্রাস-অত্যাচার-নির্যাতন সত্ত্বেও লক্ষ্মীপুরে বিএনপির নেতাকর্মীরা মাথা উঁচু করেই চলেছেন। আমার বাড়ি, সাবু মিয়ার বাড়ি— একাধিকবার হামলার শিকার হয়েছে। বহু এসপি, ডিসি ও স্থানীয় গডফাদার বাহিনীর রক্তচক্ষুর মুখোমুখি হয়েছি। কিন্তু আমরা কখনো পিছপা হইনি, বরং সব বাধা অতিক্রম করে নেতৃত্ব দিয়ে গেছি।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান লিটন। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক হারুনুর রশিদ, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাহাব উদ্দিন সাবু, যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিবুর রহমান, বাফুফে সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, জেলা বিএনপির সদস্য নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া, আইনজীবী ফোরামের সভাপতি হাফিজুর রহমান ও জেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি আবুল হাশেম প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, প্রায় ১২ বছর পর নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে লক্ষ্মীপুর পৌর বিএনপির সম্মেলন। এর আগে ২০২২ সালের ২৯ অক্টোবর সম্মেলন ছাড়াই পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছিল।