Thursday, August 28, 2025
spot_imgspot_img
Homeকৃষিকৃষি সচিবের ঘোষণা: দেশের সারের কোনো সংকট নেই, ডিসেম্বর পর্যন্ত যথেষ্ট মজুদ

কৃষি সচিবের ঘোষণা: দেশের সারের কোনো সংকট নেই, ডিসেম্বর পর্যন্ত যথেষ্ট মজুদ

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেছেন, দেশে সারের কোনো ঘাটতি নেই। চলতি মৌসুমে প্রয়োজনীয় সারের পরিমাণ সম্পূর্ণরূপে মজুদ আছে এবং ডিসেম্বর পর্যন্ত পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত।

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সরমংলায় বিএমডিএ কর্তৃক বাস্তবায়িত ‘বরেন্দ্র এলাকায় খালে পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে সেচ সম্প্রসারণ-২য় পর্যায়’ প্রকল্পের সেচ কার্যক্রম পরিদর্শনকালে তিনি এ তথ্য জানান।

ড. এমদাদ উল্লাহ মিয়ান আরও বলেন, বরেন্দ্র অঞ্চলে কৃষির ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আগে এক ফসল হলেও এখন সর্বনিম্ন তিনটি ফসল উৎপাদিত হচ্ছে। এক সময় এখানে খাদ্যের ঘাটতি ছিল, এখন দেশের মানুষের পাশাপাশি অন্যান্য দেশে খাদ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। বিশেষ করে রাজশাহী ও উত্তরবঙ্গের ফসল সারাদেশে মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।

তিনি উল্লেখ করেন, এক সময় দক্ষিণবঙ্গ ছিল খাদ্যের ভান্ডার, এখন উত্তরবঙ্গ হয়েছে দেশের খাদ্যের প্রধান উৎস। কৃষি বিভাগ এবং বরেন্দ্র অঞ্চলের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে কৃষি সম্প্রসারণ এবং কৃষকদের সুবিধা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এছাড়া কৃষি কার্যক্রমের মাধ্যমে নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য সরবরাহের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।

সারের ব্যবহার নিয়ে সচেতনতার অভাবের বিষয়েও তিনি বলেন, একেক জমিতে কতটুকু সার প্রয়োজন তা কৃষকদের বোঝানো হচ্ছে। কৃষকদের জন্য একটি খামারি অ্যাপ চালু করা হয়েছে, যা জমির ধরণ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সার ব্যবহার নির্ধারণ করতে সাহায্য করবে। অতিরিক্ত সার ব্যবহার জমির জন্য ক্ষতিকর এবং কৃষকের অর্থের অপচয়।

ড. এমদাদ উল্লাহ মিয়ান সারের দাম নিয়ে বলেন, কৃষকরা যেসব সার ২৭-৩০ টাকায় পান, তার প্রকৃত বাজারমূল্য ১০০-১১০ টাকা। অনেক সময় প্রয়োজনের চেয়ে বেশি সার ব্যবহার করা হয়, যা সঠিক নয়। সরকার ও মন্ত্রণালয় সারের সঠিক ব্যবহারের জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।

পরিদর্শনে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন, যেখানে নির্বাহী পরিচালক মো. তারিকুল আলম, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শামসুল হোদা, প্রকল্প পরিচালক ড. মো. আবুল কাসেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এটিএম মাহফুজুর রহমান, প্রকৌশলী মো. নাজিরুল ইসলাম, শিবির আহমেদ, সচিব নীলুফা সরকার, এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা ছিলেন।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -spot_img

Most Popular

Recent Comments