৯০-এর দশকে বলিউডে যখন অ্যাকশন, রোম্যান্স এবং মিউজিক একসাথে দর্শকের মন জয় করছিল, তখন অক্ষয় কুমার ও রাভিনা ট্যান্ডনের জুটি দর্শককে মুগ্ধ করেছিল।
‘টিপ টিপ বরসা পানি’-র মতো গানের দৃশ্য আজও দর্শকের মনে এক অমলিন ছাপ রেখে গেছে। রাভিনার উষ্ণতা আর অক্ষয়ের সংযত আবেগ এক অনন্য রসায়ন তৈরি করেছিল।
‘মোহরা’, ‘ম্যায় খিলাড়ি তু আনাড়ি’ এবং ‘খিলাড়িয়ো কা খিলাড়ি’— এই সিনেমাগুলো শুধু হিট হয়নি, অক্ষয়-রাভিনার সম্পর্কের অনুরণনও বহন করে। অনস্ক্রিন ঘনিষ্ঠতা এতটাই প্রভাব ফেলেছিল যে, দর্শকরা ভাবতে শুরু করেছিলেন— এটি কি শুধুই অভিনয়? পরে জানা যায়, বাস্তবেও তারা একে অপরের কাছে খুব কাছাকাছি চলে এসেছিলেন এবং গোপনে বাগদানও করেছিলেন। রাভিনার পরিবার ও অক্ষয়ের আত্মীয়দেরও এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা শোনা যায়।
তবে এই প্রেমের গল্পে ছিল দ্বিধা ও বলিউডের চিরন্তন ‘ইমেজ’-সংক্রান্ত চাপ। ১৯৯৮ সালে রেডিফকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অক্ষয় বলেন, “এটা শুধুই একটি বাগদান ছিল, যা পরে ভেঙে যায়। আমরা কখনও বিয়ে করিনি, দয়া করে এটি জেনে রাখুন।” তার বক্তব্যে ছিল আত্মপক্ষ সমর্থন ও কিছুটা বিষণ্ণতা।
১৯৯৯ সালে রাভিনা সাক্ষাৎকারে জানান, অক্ষয় নারীদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। বাগদানের খবর প্রকাশিত হলে অক্ষয়ের ‘খিলাড়ি’ ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে— এই ভয়ই সম্ভবত তাদের সম্পর্কের ভিত দুর্বল করেছিল।
পরবর্তীতে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে বলা হয়, শিল্পা শেঠির সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে অক্ষয় রাভিনাকে ছেড়েছিলেন। তবে এই সম্পর্কও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।
এরপর অক্ষয় ২০০১ সালের ১৭ জানুয়ারি টুইঙ্কেল খান্নার সঙ্গে বিয়ে করেছেন। তাদের দুই সন্তান—আরভ ও নিতারা। অন্যদিকে, রাভিনা ট্যান্ডন ব্যবসায়ী অনিল থান্ডানিকে বিয়ে করে সংসার গড়ে তুলেছেন। তাদের দুই সন্তান—রনবীর বর্ধন ও রাশা। এছাড়াও ১৯৯৫ সালে তিনি পূজা ও ছায়াকে দত্তক নিয়েছিলেন।